লম্বা একটা বাঁশ দিয়ে গাছ থেকে ফুল পাড়ছিলেন অসীম সাহা। আর সেগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছিল ছোট্ট শিশু অবন্তী। ফুলগুলো দিয়ে বড়া খাবে। তাই বাবার সঙ্গে এসেছে । ফুলটার নাম বকফুল। সবজি হিসেবে জনপ্রিয় এই ফুল অনেকেই ভেজে খান। মিষ্টিকুমড়ার ফুলের বড়ার মতোই এর বড়া বেশ সুস্বাদু।
গ্রামবাংলার পরিচিত গাছ বকফুল এখন আর আগের মতো সহজে দেখা যায় না। দ্রুত নগরায়ণ ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে এই গাছ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা গ্রামে ফুলসহ বকফুল গাছের দেখা পাওয়া গেল।
গ্রামের বাসিন্দা অসীম সাহা জানালেন, বছর দেড়েক আগে তিনি একই গ্রামের হেমেন্দ্রনাথ সাহার কাছ থেকে একটি চারা এনে বাড়ির পিছনে লাগিয়েছেন। একবছরের মধ্যেই গাছে ফুল ধরা শুরু করেছে। নিজেরা এই ফুলের বড়া খান। পাড়া প্রতিবেশীরাও এসে নিয়ে যায়।
হেমেন্দ্রনাথ সাহা জানালেন, তাঁর বাড়ির উঠানে এই গাছ ছিল। গাছটা বেশ বড় ছিল। ভাবিচা গ্রামসহ আশেপাশের গ্রাম থেকে লোক আসতো এই ফুল নিতে। ফুলের কিছু বীজ সংরক্ষণ করে রেখে দিয়েছিলেন। সেই বীজ অনেককে দিয়েছেন।
গ্রামের পবিত্র প্রামানিকের বাড়িতেই এই বকফুল গাছের দেখা পাওয়া গেল।
গৃহবধূ বেবি রানী জানালেন, অ্যাংকার ডাল বা খেসারি ডাল বেটে এই ফুল দিয়ে বড়া করলে বেশ সুস্বাদু হয়। বেসন দিয়ে করলেও ভালো লাগে।
আমরা মাঝেমধ্যেই এই বকফুল এনে বড়া করে খাই।
পরিবেশবিদ মোকারম হোসেনের লেখা 'ফুল' নামক বইয়ে লেখা আছে, আমাদের প্রকৃতিতে বকফুল অনেক পুরোনো। গাছ ছোটখাটো ধরনের, দ্রুত বর্ধনশীল। ফুলের গড়ন অনেকটা শিম ফুলের মতো। সাদা, গোলাপি ও লাল রঙের হয়। মাঝখান থেকে বাঁকানো, অনেকটা পাখির ঠোঁটের মতো। বীজ থেকে সহজেই চারা হয়।
বছরে একবার পাতা ঝরায়। বেশি দিন বাঁচে না।পাতা চিরল চিরল, অনেকটা শিরীষপাতার মতো। শরৎ-হেমন্তে সারা গাছে দুই থেকে চারটি ফুলের থোকা ঝুলে থাকে।। অবশ্য বছরের অন্যান্য সময়েও দু-চারটি ফুল ফুটতে পারে।
এক বছরেই এই গাছে ফুল ও ফল আসে। গাছ তেমন কোনো কাজে লাগে না। তবে বাকল ও শিকড় ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। এ ফুলের তৈরি ভাজি ও বড়া খেতে সুস্বাদু।
বকফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Sesbania grandiflora। পরিবার Fabaceae। জন্মস্থান মালয়েশিয়া।
গ্রামবাংলার পরিচিত গাছ বকফুল এখন আর আগের মতো সহজে দেখা যায় না। দ্রুত নগরায়ণ ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে এই গাছ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা গ্রামে ফুলসহ বকফুল গাছের দেখা পাওয়া গেল।
গ্রামের বাসিন্দা অসীম সাহা জানালেন, বছর দেড়েক আগে তিনি একই গ্রামের হেমেন্দ্রনাথ সাহার কাছ থেকে একটি চারা এনে বাড়ির পিছনে লাগিয়েছেন। একবছরের মধ্যেই গাছে ফুল ধরা শুরু করেছে। নিজেরা এই ফুলের বড়া খান। পাড়া প্রতিবেশীরাও এসে নিয়ে যায়।
হেমেন্দ্রনাথ সাহা জানালেন, তাঁর বাড়ির উঠানে এই গাছ ছিল। গাছটা বেশ বড় ছিল। ভাবিচা গ্রামসহ আশেপাশের গ্রাম থেকে লোক আসতো এই ফুল নিতে। ফুলের কিছু বীজ সংরক্ষণ করে রেখে দিয়েছিলেন। সেই বীজ অনেককে দিয়েছেন।
গ্রামের পবিত্র প্রামানিকের বাড়িতেই এই বকফুল গাছের দেখা পাওয়া গেল।
গৃহবধূ বেবি রানী জানালেন, অ্যাংকার ডাল বা খেসারি ডাল বেটে এই ফুল দিয়ে বড়া করলে বেশ সুস্বাদু হয়। বেসন দিয়ে করলেও ভালো লাগে।
আমরা মাঝেমধ্যেই এই বকফুল এনে বড়া করে খাই।
পরিবেশবিদ মোকারম হোসেনের লেখা 'ফুল' নামক বইয়ে লেখা আছে, আমাদের প্রকৃতিতে বকফুল অনেক পুরোনো। গাছ ছোটখাটো ধরনের, দ্রুত বর্ধনশীল। ফুলের গড়ন অনেকটা শিম ফুলের মতো। সাদা, গোলাপি ও লাল রঙের হয়। মাঝখান থেকে বাঁকানো, অনেকটা পাখির ঠোঁটের মতো। বীজ থেকে সহজেই চারা হয়।
বছরে একবার পাতা ঝরায়। বেশি দিন বাঁচে না।পাতা চিরল চিরল, অনেকটা শিরীষপাতার মতো। শরৎ-হেমন্তে সারা গাছে দুই থেকে চারটি ফুলের থোকা ঝুলে থাকে।। অবশ্য বছরের অন্যান্য সময়েও দু-চারটি ফুল ফুটতে পারে।
এক বছরেই এই গাছে ফুল ও ফল আসে। গাছ তেমন কোনো কাজে লাগে না। তবে বাকল ও শিকড় ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। এ ফুলের তৈরি ভাজি ও বড়া খেতে সুস্বাদু।
বকফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Sesbania grandiflora। পরিবার Fabaceae। জন্মস্থান মালয়েশিয়া।
সবুজ সরকার